সিরিজ - প্যারালাল সাকিট

রেজিস্টারের বেসিক কানেকশন ২ ধরনের।
১। সিরিজ
২। প্যারালাল
অবশ্য এইগুলার মিক্সড কানেকশন ও আছে

আগে দেখি সিরিজ সাকিট কি । আপনার কাছে যত্তগুলান রেজিস্টার আছে সবগুলার ২ মাথা একটার পর একটা জোড়া লাগাইলে হয় সিরিজ। নিচের ছবিতে দেখেন।

আর যদি সবগুলা রেজিস্টারের এক মাথা একসাথে লাগায় দেন আর অন্য মাথা গুলো আরেক জায়গায় একসাথে লাগায় দেন তাইলে সেটা হবে প্যারালাল। নিচে দেখেন।

ধরেন রাইত বাজে ১২ টা, সার্কিট নিয়া দরকারি কাজ করতেছেন, আপনার কাছে আছে সুধু ৩ টা ১ কিলো ওহমের রেজিস্টর আছে। এখন আপনার দরকার একটা ৩ কিলো ওহম। সুন্দর করে ৩ টা কে সিরিজ জোগ করে দেন। ৩ কিলো পাইয়া গেলেন। আরো কিছু সুবিধা আছে। পরে বলি।
সিরিজ কানেকশনের ছবিটা দেখেন, a আর b বিন্দুর ভেতর ৩ টা রেজিসটর লাগান আছে। R1, R2, R3।
ধরি এদের সবার মানই আলাদা। আপনি এখন প্রত্যেকটা রেজিস্টারের ২ মাথায় ওহম মিটার ধইরা মান চেক করতে পারেন। এখন যদি a আর b এর ২ মাথায় মিটার ধরেন,তাইলে কিন্তু পুরা আলাদা একটা মান পাইবেন।এইটা হবে সবগুলা রেজিস্টারের মানের যোগফল।
সিরিজ কানেকশনে রেজিস্টারের মান যোগ হইয়া যায়।আর আপনি ab প্রান্তে যে মান পেয়েছেন সেইটাকে বলে সবগুলা রেজিস্টারের কম্বিনেশন ইকুইভ্যালেন্ট রেজিস্ট্যান্স বা সমবায়ের তুল্য রোধ।
তাহলে, Rab= Requivalent=R1+R2+R3
এখন বলেন দেখি ৩ টা ১কিলো,২ টা ১০কিলো,১ টা ২৩ কিলো বানাবেন? এক্কেবারে সিম্পিল।খালি মাথায় মাথায় জোড়া লাগান।মানে সিরিজ করেন। ১+১+১+১০+১০=৪০। বুঝছেন?

২ নং ছবিটা দেখেন।
ab প্রান্তে ভোল্টেজ একই থাকলে আপনি কম্বিনেশনে যত বেশি রেজিস্ট্যান্স লাগাইবেন, ততই কিন্তু ভিতরের প্রবাহিত তড়িৎ বা কারেন্ট কমে যাবে। সোজা কথায় ভোল্টেজ ঠিক থেকে রেজিস্ট্যান্স বাড়লে কারেন্ট কমবে। বুঝার জন্য ২ নং ছবি। যদিও এইখানে ভোল্টেজ দেখান হয়নাই। ভল্টেজ আসলে কি? মনে আছে? এইটা হইল সেই শক্তি যা তারের ভিতর দিয়া ইলেকট্রন কে প্রবাহিত করে।
যাই হোক, এইবার প্যারালালের চিত্রখানা মনোযোগ সহকারে দেখিয়া নেন।কি বুঝলেন? জোড়া মাত্র ২ টা AওB । ঠিক দড়ি পাকানোর মত। সব রেজিস্টার একসাথে নিয়া খালি মাথা ২ টা পাকাইবেন।
এইটার তুল্য রোধ বের করা একটু ঝামেলা আছে। মজা হইতেছে এর কাহিনী সিরিজের ঠিক উল্টা। ওইখানে তুল্য রোধ সবগুলার থেকে বেশি হইছিল, এইবার হবে সবগুলার থেকে কম।
কেন হবে? আবার আগের ছবির মত কল্পনা করেন। এইবার প্যারালাল মানে কি? রেজিস্টর আর লম্বালম্বি জোড়া দেয়া না। পাশাপাশি জোড়া দেয়া।
ওহমের সূত্র দেখেন আবার। ভোল্টেজ = কারেন্ট * রোধ। বা কারেন্ট= ভোল্টেজ/ রোধ।এই সূত্র থেইকাই বুঝা যায় যে, সিরিজে রোধ বেশি তাই কারেন্ট কম। আর প্যারালালে রোধ কম তাই কারেন্ট বেশি।
আচ্ছা প্যারালালের তুল্য রোধের ফরমুলাটা দেখি এখন। এইরকম হবেঃ
(1/ Rab)=
(1/Requivalent )=
(1/R1)+(1/R2)+(1/R3)+(1/R4)+(1/R5)
মানে সবগুলা রোধের বিপরীত রাশির যোগফল হইবে তুল্য রোধের যোগফল এর বিপরীত রাশি।ঐ যোগফল বের করে সেইটাকে ১ দিয়ে ভাগ দিলেই উত্তর পাইবেন।
আসেন একটা ফাইনাল অংক করি। ২ টা ২কিলো, ১ টা ৪ কিলো প্যারালাল করলে তুল্য রোধ কত হয়?
প্রথমে উল্টা কইরা যোগ করেন, (1/2)+(1/2)+(1/4) = 1.25 হয়।
এরে আবার উল্টা করেন। ১/১.২৫= ০.৮ ওহম হয়। দেখেন আগের সবগুলার থেকে কম।
তাইলে সিরিজ,প্যারালাল বুঝলেন? সামনের দিনে ২টা কম্বিনেশন একসাথে কইরা নতুন জিনিস বানাবনে। আর ভোল্টেজ এবং কারেন্ট ডিভাইডার নিয়াও পোস্ট হবে। আপনি যদি মুভি এবং ই-বুক পছন্দ করেন তাহলে আমার ফেসবুক গ্রুপ জয়েন করতে পারেন। ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।