Saturday, December 12, 2015

সার্কিট ডায়াগ্রাম করার কিছু প্রয়োজনিয় পাঠ ,নিজেই করুন নিজের সার্কিট

ইলেকট্রনিক্স নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে লিখবার জন্য আপনাদের সহযোগীতা চাচ্ছি। ইলেকট্রনিক্স ছাড়া আজকালের দুনিয়া অচল তাই সবার মাঝে এই বিদ্যাটা থাকা দরকার যেমন দরকার কম্পিউটার এর ঞ্জান। লেখার ভিতরে কোন ভূল থাকলে সবার সঠিক পরামর্শ একান্ত ভাবে গ্রহন করা হবে
এখানে আমি চেষ্টা করছি যারা নন টেকনিকাল স্টুডেন্ট ,মূলত তাদের বোঝার উপযোগী করে কিছু টেকনিকাল পোস্ট দেওয়ার , আমরা অনেকেই ইন্টারনেট থেকে সার্কিট ডায়াগ্রাম দেখে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স বানানোর চেষ্টা করি অনেকসময় পারি আবার অনেকসময় পারি না , যাদের educational ব্যাকগ্রাউন্ড টেকনিক্যাল তারা সার্কিট গুলো বুঝতে পারে প্রয়োজনে modify করেও নিতে পারে , কিন্তু যারা অন্য অনন্য বিষয় নিয়ে পড়াসুনা করছেন তারা ডায়াগ্রাম এর মত হুবহু কম্পোনেন্ট না পেলে প্রবলেম পরেন , আমার প্রথম দিকে যখন আমি স্কুল পরতাম আমারও হত ,
তবে ভালো হয় আমরা যদি বুঝে নেই যে সার্কিট তা কি ভাবে কাজ করে , তা হলে মনের মত করে নিজেরাই বানিয়ে নিতে পারব , তবে আমি এই বিষয় টা একটা বা দুটা পোস্টে বোঝাতে পারবনা , আমার পরপর পোস্টগুলো দেখবেন……………
আবার আসি মূল আলোচনায় , আমরা মূলত ছোটখাটো  প্রজেক্ট গুলো বানাই সেগুলো মূলত দু ধরনের ,.সার্কিট নিজে নিজেই ফ্রীলী যে কোনো কাজ করে , . সার্কিট পরিবেশ থেকে কিছু ইনপুট সেন্সর এর মাধ্যমে গ্রহণ করে(আলো ,তাপ,শব্দ  ইত্যাদি ) , সার্কিট তাকে প্রসেস করে আউটপুট দেয়
যে কোনো সাধারণ সার্কিট চালাতে যে মূল দুইটা জিনিস লাগে সেটা হলো  .switching  .amplification
কোনো কিছু চালু বা বন্ধ করতে সুইচ তো লাগবেই , বলুন তো আপনার বাড়ির switch  তা আপনি হাত দিয়ে সেকেন্ড   কত বার অন অফ করতে পারবেন , মনে হয়না বার এর বেশি পারবেন কিন্তু ইলেকট্রনিক্স কিছু হাই স্পিড switching আর দরকার পরে যা প্রায় সেকন্ডে ৫০ থেকে ৫০০০০ বার হতে পারে , তা হলে কি করে করবেন ?
হা ঠিক ধরেছেন এই কাজ কবে transistor , কি করে সেটা পরে আলোচনা  করছি ,
এবার ধরুন সেকেন্ড টাইপ আর সার্কিট আর কথা পরিবেশ থেকে কিছু সেন্স করবেন সেন্সর দিয়ে , এখানে একটা কথা বলে  রাখি সেন্সর হলো এমন একটা জিনিস যেটা তে কোনো ভৌত রসি (তাপ ,চাপ শব্দ ) প্রয়োগ করলে তা এটার তুল্য পরিমান ইলেকট্রিকাল সিগনাল আউটপুট বার করে , সে ক্ষেত্রে আবার এমন না যেমন ldr  তার রেজিস্টেস্ন পরিবর্তন করে সার্কিট কে পরিবেশের আলোর পরিমান জানান দেয় , যাক সে কথা যেটা বলছিলাম , যে এই এই সেন্সর গুলার আউটপুট সিগনাল  এতই কমজোরী হয় যে তা সরাসরি কন্ট্রোল সার্কিট ইফেক্ট করতে পার না , তাই এখানে প্রয়োজন হয়  এই সিগনাল গুলো কে শক্তিশালী করার মানে হলো amplification , এই কাজটাও আমরা করব এক বা একাধিক transistor  দিয়ে ,
এবার আসি transistor  নিয়ে ,
এটি একটি অর্ধপরিবাহী ডিভাইস , মূলত দু রকমের হয় . PNP . NPN
এবার বলি Transistor আর বিয়াসিং কি    .........


সার্কিট ডায়াগ্রাম  নিজেই করুন নিজের সার্কিট (ধারাবাহিকপোস্ট =2)
যারা এই পোস্ট এ নতুন তারা এর আগের পোস্ট দেখে  নিতে পারেনdiode নামটা সবাই নিশ্চয় শুনেছেন ,
 
এটা হলো ইলেকট্রিক কারেন্ট প্রবাহের পথে একটি একমুখী গেট বিশেষ , আপনার বাড়ির দু পাল্লর দরজার মত একদিকেই খোলে অন্যদিকে খোলে কি ?
এটাও একটা অর্ধপরিবাহী ডিভাইস , মূ্লোতো germenium অথবা সিলিকোন এর সাথে কিছু অস্সুধি মিশিয়ে এটা  করা হয় ,এটার + এর সাথে ব্যাটারী এর + ,আর - এর সাথে ব্যাটারী এর নেগেটিভ প্রান্ত লাগালে এটার ভিতর দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত  হবে ,


উল্টো টা করলে এটার ভিতর দিয়ে কোনো কারেন্ট যাবে না , তা হলে এক মুখিকারক ,


মনে করুন এই রকম দুটো diode একসাথে লাগানো আছে , এই হয়ে গেল transistor , কিন্তু আপনি বাড়িতে দুটো diode জোড়া লাগিয়ে transistor বানাতে পারবেন না ,
আসুন আবার জেনে নেই এর গঠন - এর তিনটি পিন থাকে . বেস .ইমিটার  .কালেক্টর
ছবি তা দেখুন


এবার এই তিনটি পিনে একটু কায়দা করে ভোল্টেজ দিয়ে এটাকে কাজকরার মত করে এক্টিভেট করতে হবে
সবসময় একটা জিনিস মনে রাখতে হবে transistor যদি npn হয় base আর emitter থাকবে ফরওয়ার্ড বিয়াসে , মানে হলো ব্যাটারী এর +যোগ হবে বেসে আর - যোগ হবে emitter , এবং ব্যাটারী এর ( একটু বেশি  ভোল্টেজ এর )
+যোগ হবে কালেক্টর আর -যোগ হবে বেসে 




তা  হলে একটা npn transistor কে ফরওয়ার্ড বায়াস দিয়ে একটিভ করা হলো , এবার হলো আসল ব্যাপার আমরা transistor টির বেস একটা ইনপুট সিগনাল দেবো ,


এখন transistor এর একটা মজার ব্যাপার হলো বেস সিগনাল কারেন্ট সামান্যতম পরিবর্তন হলেই , কালেক্টর পিন দিয়ে নেওয়া আউটপুট কারেন্ট বিশাল পরিবর্তন হয় , এই বিবর্ধিত আউটপুট আর প্রয়োগ করা ইনপুট এর অনুপাত হলো amplification factor , তার মানে কোনো transistor সার্কিট এর   amplification factor যদি ১০০ হয়  তা হলে কালেক্টর কারেন্ট বেস কারেন্ট এর ১০০ গুন হবে ,এই ভাবে যদি তিনটা transistor এর কানেকশন করা হয় তা হলে শেষ মেস আউটপুট প্রায় ১০০*১০০*১০০=১০০০০০০ গুন হতে পারে ,
 
আমি বলে রাখি যে সেন্সর এর আউটপুট সিগনাল এর পাওয়ার খুব কম হয় ,তার পাওয়ার এই ভাবেই কয়েকশ গুন বাড়ানো হয়

বায়াসিং কি পড়ে নিন,
 
আমি বলেছিলাম যে , বেস কারেন্ট  সমান্যতম পরিবর্তনে কালেক্টর কারেন্ট বিশাল পরিবর্তন হয় ,
সব থেকে সিম্পল transistor সার্কিট টি দেখুন ,এটি একটি ব্যাটারী দিয়ে বায়াস করা হয়েছে , এখন আপনি আঙ্গুল দিয়ে বেস আর কালেক্টর পিন দুটো কে একসাথে টাচ করুন , দেখবেন LED টি জলছে ,


এবার বলি কি করে হলো , আপনি আবার ভাববেন না যেন আপনার আঙ্গুল টি একটা পরিবাহীর মতো কাজ করে সার্কিট তা কে কমপ্লিট করে LED তা কে অন করেছে , আসলে আমাদের চামড়ার resistance অনেক বেসি একটা ভল্ট এর ব্যাটারী লাগালে চামড়ার মধ্য দিয়ে যে কারেন্ট যায় তা অতি নগন্য (সেন্সর এর কথা ভাবুন ), ইটা একটা LED কে সরাসরি জালাতে পারবে কি ? না , তবে ভোল্টেজ একটু বেশি হলে খুব সামান্য জলবে ,এমনি টুনি ল্যাম্প হলে জলবেই না, যাক সে কথা , তা হলে হলো তা কি ?
আসলে আপনি আঙ্গুল দিয়ে টাচ করে সামান্য পরিমান বেস কারেন্ট তৈরী হয় , আবার এটাই transistor  এর ধর্ম অনুযায়ে amplified হয় ,আসলে এই  কালেক্টর কারেন্ট LED  টা কে জালায় ,

আমি কি পারলাম বোঝাতে ? আর যদি বুঝতে না পারেন তাহলে কমেন্ট বক্স এ লিখেন যে কোন জায়গায় বুঝতে পারেন নি।
সবাই ভালো থাকবেন






5 comments: