Saturday, December 5, 2015

রেসিস্টরের মান বের করা

রেসিস্টর এর মান জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রেসিস্টর এর মান বের করার অনেক উপায় আছে। এর মধ্যে কালার কোড দেখে রেসিস্টরের মান বের করা সবচেয়ে প্রচলিত। যেসব রেসিস্টরে কালার কোড থাকে না সেই রেসিস্টরে সাধারনত একটি নম্বর লেখা থাকে যেটা থেকে রেসিস্টরের মান খুব সহজে বের করা যায়। রেসিস্টরের মান বের করার আরেকটি সহজ উপায় হল মাল্টিমিটার ব্যবহার করে রেসিস্টান্স বের করা। মাল্টিমিটার ব্যাবহার করে রেসিস্টরের মান বের করার একটি বিরাট সুবিধা হল এতে এক্স্যাক্ট মান বের করা সম্ভব। তবে এর একটি অসিবিধা হল এই মেথড একটু সময় সাপেক্ষ। কালার কোড বা নাম্বার দেখে রেসিস্টরের মান বের করার মূল সুবিধাটাই হল সময় অনেক কম লাগে। একবার দেখেই বলে দেয়া যায় রেসিস্টরের মান কত। তাই রেসিস্টরের মান বের করার সবগুলো নিয়ম জেনে রাখা ভালো।

নাম্বার দেখে রেসিস্টরের মান
কিছু রেসিস্টর আছে যার গায়ে রেসিস্টরের মান লেখা থাকে। যেসব রেসিস্টর সাইজে একটু বড় (সিরামিক পাওয়ার রেসিস্টর) তাদের গায়ে তাদের মান পাওয়ার রেটিং সরাসরি লেখা থাকে। কিন্তু যেসব রেসিস্টর সাইজে একটু ছোট (যেমন চিপ রেসিস্টর বা ভেরিএবল রেসিস্তর পটেনশিওমিটার) তাদের গায়ে রেসিস্টেন্স এর একটা কোড লেখা থাকে যা দেখে বলে দেওয়া যায় রেসিস্টরের মান কত।

যেসব রেসিস্টরের গায়ে তাদের অরিজিনাল রেসসিটেন্স লেখা থাকে তা দেখলেই বুঝা যায়। কারন মানের সাথে Ω সিম্বলটি থাকবে এবং তার পাওয়ার রেটিং বলে দেওয়া থাকবে
4.7 ohm 10 watt Resistor

উধারনসরুপ বলা যাক একটা রেসিস্টর এর গায়ে লেখা আছে 10W4.7 ΩJ এর মানে হল এই রেসিস্টরটি ১০ ওয়াট পাওয়ার নিতে পারে এবং এর রেসিস্টেন্স . ওহম। কিন্তু শেষের J দিয়ে কি বুঝানো হচ্ছে? শেষের অক্ষরটি বুঝায় তার টলারেন্স কত। টলারেন্স হল রেসিস্টরের গায়ে রেসিস্টেন্স যত লেখা আছে আর তার সত্যিকারের রেসেস্টেন্স এর মানে ব্যবধান। নিচের টেবিল্টটিতে টলারেন্স এর কিছু কমন মান দেওয়া হল। এই ক্ষেত্রে J মানে +-% তার রেসিস্টেন্স এর মান হতে পারে .৪৬৫ থেকে .৯৩৫ ওহম

কোড
টলারেন্স
A
±.০৫%
B
±.%
C
±.২৫%
D
±.%
F
±%
G
±%
J
±%
K
±১০%
M
±২০%

এবং যেসব রেসিস্টরের গায়ে কোড লেখা থাকে তা দেখা বুঝা খুবি সহজ কারন তার গায়ে শুধু তিন সংখ্যার একটা নাম্বার লেখা থাকবে। এই তিন সংখ্যা দেখে বুঝা যাবে রেসিস্টরের মান কত। কখনো কখনো চার সংখ্যার নাম্বার থাকতে পারে। সাধারণত চিপ রেসিটর পাওয়ার রেসিস্টরে এইরকম কোড দেওয়া থাকে।
নিচের ছবিটিতে দেখানো হল কিভাবে সাধারণত রেসিস্টরের কোড দেয়া থাকে

রেসিস্টরের গায়ে কোড
নিচের ছবিটিতে একটা উদাহরন দেখানো হল
470 ohm Resistor code

যদি কোডে ডিজিট থাকে তাহলে প্রথম তিন ডিজিট ওহমিক মানের প্রথম তিনটি অংক প্রকাশ করবে এবং চতুর্থ ডিজিটটি গুণক হিসাবে ব্যবহৃত হবে। বাকী সকল নিয়ম একই। কখনো কখনও দ্বিতীয় সংখ্যাটির যায়গায় R দেয়া থাকে, সে ক্ষেত্রে এটি দশমিক বোঝায় তৃতীয় সংখ্যাটি গুনক এর পরিবর্তে দশমিক এর পরের সংখ্যা বোঝায়। নিচের ছবিতে একটি উদাহরন দেখানো হল
4.7 ohm resistor code
অনেক সময় শূণ্য ওহম চীপ রেজিস্টর পাওয়া যায় এবং সে ক্ষেত্রে একটি H আকৃতির চিহ্ন দ্বারা শূণ্য ওহম চীপ রেজিস্টর বোঝানো হয়।
0 ohm resistor code



0 comments:

Post a Comment