এখানে আমি চেষ্টা করছি যারা নন টেকনিকাল স্টুডেন্ট ,মূলত তাদের বোঝার উপযোগী করে কিছু টেকনিকাল পোস্ট দেওয়ার , আমরা অনেকেই ইন্টারনেট থেকে সার্কিট ডায়াগ্রাম দেখে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স বানানোর চেষ্টা করি অনেকসময় পারি আবার অনেকসময় পারি না , যাদের educational ব্যাকগ্রাউন্ড টেকনিক্যাল তারা সার্কিট গুলো বুঝতে পারে প্রয়োজনে modify করেও নিতে পারে , কিন্তু যারা অন্য অনন্য বিষয় নিয়ে পড়াসুনা করছেন তারা ডায়াগ্রাম এর মত হুবহু কম্পোনেন্ট না পেলে প্রবলেম এ পরেন , আমার ও প্রথম দিকে যখন আমি স্কুল এ পরতাম আমারও হত ,
তবে ভালো হয় আমরা যদি বুঝে নেই যে সার্কিট তা কি ভাবে কাজ করে , তা হলে মনের মত করে নিজেরাই বানিয়ে নিতে পারব , তবে আমি এই বিষয় টা একটা বা দুটা পোস্টে বোঝাতে পারবনা , আমার পরপর পোস্টগুলো দেখবেন……………।
আবার আসি মূল আলোচনায় , আমরা মূলত ছোটখাটো প্রজেক্ট গুলো বানাই সেগুলো মূলত দু ধরনের ,১.সার্কিট নিজে নিজেই ফ্রীলী যে কোনো কাজ করে , ২. সার্কিট পরিবেশ থেকে কিছু ইনপুট সেন্সর এর মাধ্যমে গ্রহণ করে(আলো ,তাপ,শব্দ ইত্যাদি ) , সার্কিট তাকে প্রসেস করে আউটপুট দেয়
যে কোনো সাধারণ সার্কিট চালাতে যে মূল দুইটা জিনিস লাগে সেটা হলো ১.switching ২.amplification
কোনো কিছু চালু বা বন্ধ করতে সুইচ তো লাগবেই , বলুন তো আপনার বাড়ির switch তা আপনি হাত দিয়ে সেকেন্ড এ কত বার অন অফ করতে পারবেন , মনে হয়না ৫ বার এর বেশি পারবেন কিন্তু ইলেকট্রনিক্স এ কিছু হাই স্পিড switching আর দরকার পরে যা প্রায় সেকন্ডে ৫০ থেকে ৫০০০০ বার হতে পারে , তা হলে কি করে করবেন ?
হা ঠিক ধরেছেন এই কাজ কবে transistor , কি করে সেটা পরে আলোচনা করছি ,
এবার ধরুন সেকেন্ড টাইপ আর সার্কিট আর কথা পরিবেশ থেকে কিছু সেন্স করবেন সেন্সর দিয়ে , এখানে একটা কথা বলে রাখি সেন্সর হলো এমন একটা জিনিস যেটা তে কোনো ভৌত রসি (তাপ ,চাপ শব্দ ) প্রয়োগ করলে তা এটার তুল্য পরিমান ইলেকট্রিকাল সিগনাল আউটপুট বার করে , সে ক্ষেত্রে আবার এমন না যেমন ldr তার রেজিস্টেস্ন পরিবর্তন করে সার্কিট কে পরিবেশের আলোর পরিমান জানান দেয় , যাক সে কথা যেটা বলছিলাম , যে এই এই সেন্সর গুলার আউটপুট সিগনাল এতই কমজোরী হয় যে তা সরাসরি কন্ট্রোল সার্কিট এ ইফেক্ট করতে পার না , তাই এখানে প্রয়োজন হয় এই সিগনাল গুলো কে শক্তিশালী করার মানে হলো amplification , এই কাজটাও আমরা করব এক বা একাধিক transistor দিয়ে ,
এবার আসি transistor নিয়ে ,
এটি একটি অর্ধপরিবাহী ডিভাইস , মূলত দু রকমের হয় ১. PNP ২. NPN
এবার বলি Transistor আর বিয়াসিং কি .........
এটা হলো ইলেকট্রিক কারেন্ট প্রবাহের পথে একটি একমুখী গেট বিশেষ , আপনার বাড়ির দু পাল্লর দরজার মত একদিকেই খোলে অন্যদিকে খোলে কি ?
এটাও একটা অর্ধপরিবাহী ডিভাইস , মূ্লোতো germenium অথবা সিলিকোন এর সাথে কিছু অস্সুধি মিশিয়ে এটা করা হয় ,এটার + এর সাথে ব্যাটারী এর + ,আর - এর সাথে ব্যাটারী এর নেগেটিভ প্রান্ত লাগালে এটার ভিতর দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হবে ,
তা হলে একটা npn transistor কে ফরওয়ার্ড বায়াস দিয়ে একটিভ করা হলো , এবার হলো আসল ব্যাপার আমরা transistor টির বেস এ একটা ইনপুট সিগনাল দেবো ,
আমি বলে রাখি যে সেন্সর এর আউটপুট সিগনাল এর পাওয়ার খুব কম হয় ,তার পাওয়ার এই ভাবেই কয়েকশ গুন বাড়ানো হয়।
আমি বলেছিলাম যে , বেস কারেন্ট সমান্যতম পরিবর্তনে কালেক্টর কারেন্ট এ বিশাল পরিবর্তন হয় ,
সব থেকে সিম্পল transistor সার্কিট টি দেখুন ,এটি একটি ব্যাটারী দিয়ে বায়াস করা হয়েছে , এখন আপনি আঙ্গুল দিয়ে বেস আর কালেক্টর পিন দুটো কে একসাথে টাচ করুন , দেখবেন LED টি জলছে ,
আসলে আপনি আঙ্গুল দিয়ে টাচ করে সামান্য পরিমান বেস কারেন্ট তৈরী হয় , আবার এটাই transistor এর ধর্ম অনুযায়ে amplified হয় ,আসলে এই কালেক্টর কারেন্ট LED টা কে জালায় ,
আমি কি পারলাম বোঝাতে ? আর যদি বুঝতে না পারেন তাহলে কমেন্ট বক্স এ লিখেন যে কোন জায়গায় বুঝতে পারেন নি।
সবাই ভালো থাকবেন।